Patachitra is one of the traditional handicrafts of Bengal. The word pot comes from the Sanskrit word pot. Money is a piece of cloth. The picture painted on the cloth is called pot picture. The existence of the Patuas is mentioned about two thousand years ago. In the Buddhist literature of the first century BC, in the second century AD, in the Hari dynasty, in the fourth century, in Abhijnan Shakuntalam and Malvikagnimitra, and in the sixth and seventh centuries, in Harshacharita and Uttararamchari, there are references to the Patuas of Bengal. There was a lot of painting among the Santals of the Hindu tribal body. Patuara was influenced by the emergence of Buddhism before the Pala dynasty rule in Bengal, and Buddhist kings and lamaras also used pottery extensively in the propagation of Buddhism. As a result, the painting spread to Bali, Java, Malaysia, Tibet and Sinhala. Later, at the beginning of the Muslim rule, many of the Patuas converted to Islam. Patuaras, i.e. painters, still carry on the legacy of that genre in many remote villages of Bengal's Medinipur, Bankura, Howrah, Hooghly and twenty-four parganas districts.

বাংলার ঐতিহ্যবাহী লােকায়ত হস্ত শিল্পের অন্যতম নিদর্শন পটচিত্র। পট কথাটি এসেছে সংস্কৃতের পট্ট শব্দটি থেকে। অর্থ কাপড়ের খন্ড। কাপড়ের ওপর আঁকা ছবিকেই বলা হয় পট চিত্র। আনুমানিক দু হাজার বছর আগে থেকেই পটুয়াদের অস্তিত্ত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। খ্রীষ্টপূর্ব প্রথম শতকের বৌদ্ধ সাহিত্যে, খ্রীষ্টিয় দ্বিতীয় শতকে হরিবংশে, চতুর্থ শতকে অভিজ্ঞান শকুন্তলমে ও মালবিকাগ্নিমিত্রে, আর ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকে হর্ষচরিত ও উত্তররামচরিতে বাংলার পটুয়াদের কথার উল্লেখ পাওয়া যায়ষ। হিন্দু আদিবাসী শবর খেড়িয়া সাঁওতাল মুন্ডাদের মধ্যে চল ছিল পটচিত্রের। বাংলায় পাল বংশীয় শাসনের আগে বৌদ্ধ ধর্মের উদ্ভবে পটুয়ারা এই ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হন, বৌদ্ধ রাজা ও লামারাও বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারে পট চিত্রকে ব্যপকভাবে কাজে লাগান। ফলে এই চিত্রকলা ছড়িয়ে পড়ে বালি, জাভা, মালয়েশিয়া, তিব্বত ও সিংহলে। আবার পরবর্তীকালে মুসলিম শাসনের শুরুতে পটুয়াদের অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পটুয়ারা অর্থাৎ পটচিত্রশিল্পীরা আজও সেই ধারার উত্তরাধিকার বহন করে চলেছেন বাংলার মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলী, চব্বিশ পরগনা জেলার অনেক প্রত্যন্ত গ্রামে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানায় এই রকমই এক ছােট্ট গ্রাম নয়া। আগে পটুয়ারা গ্রামে গ্রামান্তরে পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে গান গেয়ে তাদের পট দেখিয়ে বেড়াতেন। ১৯৪০ সাল নাগাদ স্থানীয় জমিদার এইসব ভ্রাম্যমান পটুয়াদের রাতে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নয়াতে নৈশাবাসের ব্যবস্থা করে দেন। ক্রমে ক্রমে পটুয়ারা জমি জিরেতের বন্দোবস্ত করে নয়াতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করলে পটুয়াদের গ্রাম হয়ে ওঠে নয়া। প্রথম দিকে প্রচণ্ড অর্থ সংকটের সম্মুখীন হন চিত্রকরেরা। শুধুমাত্র অঙ্কিত পট বিক্রি করে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আর্থ সামাজিক কারণে প্রচণ্ড খারাপ অবস্থায় পড়ে অনেকেই বংশের ঐতিহ্য চিত্রাঙ্কন ছেড়ে দিয়ে চলে যান অন্য জীবিকায়। ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে ১৯৯০ সাল নাগাদ। এগিয়ে আসে কয়েকটি NGO | তাদের সহায়তায় উপযুক্ত প্রচার ও বিপনণের ববস্থায় পাদ প্রদীপের সামনে উঠে আসে নয়া। এখানকার পটশিল্প দেশে ও বিদেশে অর্জন করে বিপুল জনপ্রিয়তা। রাজ্য সরকার প্রদত্ত নানা পুরস্কার তাে আছেই, নয়ার অনেক শিল্পীই পেয়েছেন রাষ্ট্রপতির দেওয়া জাতীয় পুরস্কার। বিদেশেও এই চিত্রকররা স্বীকৃতি পাচ্ছেন। পট আঁকার সুবাদে এই গ্রামের অনেকেই ঘুরে এসেছেন ইউরােপের নানা দেশ থেকে। ভারতের নানা জায়গা ছাড়াও ইউরােপের নানা দেশ, বিশেষ করে ইউকে, ফ্রান্স, ইটালী থেকে আগ্রহী শিল্পী ও শিল্পরসিকদের নিয়মিত যাতায়াত আছে নয়াতে। এই গ্রামেরই বাসিন্দা বর্ষীয়ান আনােয়ার চিত্রকরের ছবি প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের হার্লে গ্যালারীতে, দিল্লীর মেট্রো রেল কর্পোরেশন আশি হাজার টাকায় কিনেছে তার ছবি। ২০০৬ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। আনােয়ার ছাড়াও বাহাদুর, দুখুশ্যাম, গুরুপদ, জবা প্রমুখ চিত্রকরদের নাম আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের চিত্রশিল্প রসিকদের কাছেও বিশেষভাবে পরিচিত। গ্রামে রয়েছে শিল্পীদের নিজস্ব সংগঠন ‘চিত্রতরু’। রয়েছে একটি শিল্প সংগ্রহশালা। এমনকি দেশী বা বিদেশী অতিথিদের জন্য অতিথিশালার ব্যবস্থাও রেখেছে চিত্রতরু। প্রতি বছর নভেম্বর মাসে চিত্রতরু ক্লাস্টার আয়ােজন করে ‘পটমায়া’ উৎসবের। এখন এই গ্রামে বাস করেন মাত্র চৌষট্টটি পরিবার মজার ব্যাপার এখানে সবার পদবী চিত্রকর। হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে সকলেই নিজেদের বংশ জাতির পরিচায়ক পদবীর বদলে ব্যবহার করেন এই চিত্রকর পদবী। পটশিল্পই তাদের একমাত্র জীবিকা। এখন অবশ্য কাপড়ের বদলে কাগজের ওপরেই আঁকা হচ্ছে ছবি। কোনও ধরনের প্রাথমিক রেখাঙ্কন ছাড়াই সরাসরি তুলির টানে নানা রং-এর ব্যঞ্জনায় কাগজের উপর ফুটে ওঠে পটশিল্পীদের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কল্প চিত্রগুলি। বিভিন্ন গাছ গাছালির থেকে আহৃত উপাদানের সঙ্গে বেলের আঠা মিশিয়ে পট শিল্পীরা নিজেরাই তৈরি করে নেন নিজেদের আঁকার জন্য প্রয়ােজনীয় রং। এই রং তৈরী করার ব্যপারটাও এক দর্শনীয় বিষয়, শিক্ষনীয়তাে বটেই। যেমন নীল রং সংগৃহীত হয় অপরাজিতা ফুলের থেকে, হলুদ রং তেঁতুল, বাদামী রং সেগুন কাঠের থেকে, সবুজ রং সীম বা বাবলা গাছের থেকে আর মাটি দিয়ে তৈরি হয় সাদা রং। পটগুলি আঁকা হয় মূলতঃ তিনটি আকারে। শিল্পীদের পরিভাষায় জড়ানাে বা গােটানাে পটে পর পর আঁকা হয় একটি কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে দশ পনেরােটি ছবি। পটুয়ারা ধীরে ধীরে পটটি খুলে একটি একটি করে ছবিগুলি দেখাতে থাকেন আর নিজেদের লেখা ও সুরে গান গেয়ে পটের আখ্যানগুলি বর্ণনা করে থাকেন। আড়ে লাটাই পটের ক্ষেত্রে লম্বার পরিবর্তে পটে ছবিগুলি আঁকা হয় আনুভূমিক ভাবে। আর চৌকো পট হচ্ছে মাত্র একখানি আঁকা ছবি সম্বলিত ছােট ছােট চৌকো পট। মাছ, পশু, পাখি ছাড়াও বিভিন্ন পৌরাণিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক কাহিনী, রূপকথার নানান গল্প এইসব পট চিত্রের বিষয় বস্তু। রামায়ন, মহাভারত, মঙ্গলকাব্য, রাধা কৃষ্ণের অমর প্রেম, সাবিত্রী সত্যবান, রাজা হরিশচন্দ্রের আত্মত্যাগ, চাঁদসদাগর ও মনসার সং ঘাত ইত্যাদি চিরকালীন কাহিনীগুলি শিল্পীদের পছন্দের গাঢ় উজ্জ্বল রং-এ দক্ষ তুলির স্পর্শে অনুপম ব্যঞ্জনায় জীবন্ত হয়ে ওঠে পটের বুকে। বর্তমানে এই সব পৌরাণিক কাহিনীর পাশাপাশি বর্তমান করোনা পরিস্থতি, আমেরিকার টুইন টাওয়ার ধ্বংস, ওসামা বিন লাদেন, হিউম্যান ট্র্যাফিকিং, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা, নির্ভয়া কান্ড, বাবরি মসজিদ ধ্বংস প্রমুখ আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ঘটনাবলীও পট চিত্রের বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে।  সেদিন বেরিয়ে পড়েছিলাম এই নয়া গ্রামের পথে। কলকাতা থেকে দ্বিতীয় সেতু পেরিয়ে ছনম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ডেবরা বাজারে পৌঁছে উড়াল পুলে না উঠে বাঁ দিকের রাস্তা দিয়ে গেলে পড়বে হাওড়া খড়গপুর লাইনের বালিচক রেল স্টেশন। লেবেল ক্রসিং পেরিয়ে বারাে কিলােমিটার গেলে মুন্ডমারীর মােড়। সেখান থেকে বাঁ দিকের রাস্তা ধরে আরও দশ কিলােমিটার গেলে পথের পাশেই নয়া গ্রাম।

পথের ধারে আমাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন একজন অতি সাধারণ চেহারার মধ্যবয়সী গ্রামীন মানুষ। মন্টু চিত্রকর। পরণে লুঙ্গি ও শার্ট, সঙ্গে বছর দশেকের একটি ছেলে। রাস্তা থেকে নেমে নারকেল, আম, কাঁঠালের ছায়ায় দু’দিকে আগাছা ভরা ঝােপঝাড়ের মাঝখান দিয়ে সরু পায়ে চলা রাস্তা ধরে একশ মিটার মত গেলেই নয়া। রাঢ় বাংলার প্রত্যন্ত পল্লী গ্রাম যেমন হয় তেমনই। শান্ত সুনিবিড় গাছ গাছালির ছাওয়ায় সংকীর্ণ কঁাচা গলি পথের ধারে মাটির কুটিরের সারি। তফাৎ শুধু একটাই। প্রতিটি বাড়ির বাইরের মাটির দেওয়াল চিত্রিত নানা রং-এর ছবিতে। এখানের প্রতিটি বাড়িই এক একটি স্টুডিও। নিদেন পক্ষে একজন চিত্রকর তাে বাস করেনই প্রতিটি বাড়িতে। মন্টুবাবু আমাদের নিয়ে গেলেন তার বাড়িতে। একতলা ছােট বাড়ি। ইটের দেওয়াল, মাথায় টিনের ছাউনি, কঁাচা মেঝে, ঢুকেই একটা বড় দালান একটা বড় চৌকি, ওপরে মাদুর পাতা, তার ওপর ছড়ানাে মাটির পাত্রে নানা ধরনে রং, ইতস্ততঃ ছড়ানাে তুলি, কয়েকটি পট আর তার ওপর বসে ছবি আঁকায় ব্যস্ত বাড়ির ঘরনী জবা চিত্রকর। দেখে মনে হল বুঝি এই মাত্র হেঁসেল থেকে বেরিয়ে চৌকির ওপর বসে কোনও দরকারী কাজ সারছেন। কে বলবে এই মহিলা একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পট চিত্রশিল্পী ইউরােপ ঘুরে এসেছেন পাঁচবার, শেষ বার গিয়েছিলেন প্যারিসে। পাশে দাঁড়িয়ে বছর পঁচিশের এক তরুণী ঘুরে এসেছেন জার্মানী থেকে। শুনলাম তার বিদেশ যাত্রার অভিজ্ঞতার কথা। মন্টু আমাদের নিয়ে এলেন পাশের একটি ঘরে। সেখানেও একটা বড় চৌকি আর কয়েকটা ফাইবারের চেয়ার। চৌকির নীচে থেকে বেরােলাে বেশ কয়েকটি বড় স্টীলের ট্রাঙ্ক। প্রতিটি বাক্সই ভরা পটচিত্রে। একেকটি বাক্স খুলে জবা চিত্রকর চৌকির ওপর পাতা মাদুরে মেলে ধরতে থাকলেন একের পর এক পট, আর আসন্ন গােধুলির আলাে আঁধারিতে অন্ধকার দূর করতে অপারগ একটা টিমটিমে বিজলী বাতি জ্বলতে থাকা ছােট ঘরটি ভেসে যেতে থাকলাে রং-এর বন্যায়। নানা বর্ণে রঞ্জিত শিব দুর্গা কালী সরস্বতী যীশু খ্রীষ্টের ছবি, চাঁদ সদাগরের কাহিনী হরিশচন্দ্রের কাহিনী সম্বলিত নানা পটের সম্ভারে কথা যাচ্ছিল হারিয়ে। বর্তমানের ঘটনাবলী নিয়েও দেখলাম বেশ কয়েকটি গােটানাে পট। তারপর মন্টু, জবা চিত্রা ছাড়াও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও জমা হলেন ঘরে। ক্ষুদে কচি কাঁচারাও যােগ দিল। শুরু হল গান। ধীরে ধীরে মন্টু খুলতে থাকলেন গােটানাে পট, বেরিয়ে আসতে লাগলাে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে একেকটি ছবি আর ঘরের সবাই মিলে গাইতে থাকলেন সেই ছবির ব্যাখ্যা করে নিজেদের সুরে নিজেদের লেখা গান। ক্ষুদেরাও সমান তালে গলা মেলাতে থাকলাে। আমরা তিনটি পটের গান সেদিন শুনেছিলাম। প্রথমটি আমেরিকার টুইন টাওয়ারের ওপর হামলা থেকে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটনাবলীর ছবি ও বর্ণনা, দ্বিতীয়টি নির্ভয়া কান্ডের ওপর আর শেষকালে রাধাকৃষ্ণের চিরন্তন প্রেম কাহিনীকে ভিত্তি করে রচিত একটি গােটানাে পটের গান। শেষ গানটির কথা ও সুর এখনও কানে লেগে আছে।

জানি কেন কালারই সাথে মন মজেছে। সাঁঝের বেলা যমুনার জল আনতে বলে কে ?

এরপর মন্টু আমাদের নিয়ে গেলেন পাঁচিল দিয়ে ঘেরা পাশের একটি বাড়িতে, দরজার পাশে রাখা পটের ছবি আঁকা একটা গরুর গাড়ির চাকা, পাশে অবহেলায় পড়ে আছে একটা মাটির তৈরি সিংহের অবয়ব। ভিতরে ঢুকেই এক প্রশস্ত বাঁধানাে প্রাঙ্গন। পটুয়াদের সংগঠন চিত্রতরুর সংগ্রহ ও প্রদর্শশালা। সেখানে রয়েছে গ্রামের পটুয়াদের আঁকা অনেক পটের সম্ভার। পট ছাড়াও সেখানে দেখলাম নানা জায়গা থেকে সংগৃহীত অনেক মুখােশ, এমনকী আফ্রিকার উপজাতিদের মুখােশও দেখলাম সেখানে। শুধু কাগজের ওপর আঁকা পট নয়, নয়ার পটুয়ারা এখন ছবি আঁকছেন পােড়া মাটির ফুলদানী আর অ্যালুমিনিয়ামের কেটলির গায়েতেও, ঘর সাজানাের সামগ্রী হিসাবে তৈরি হয়েছে এগুলির ব্যবসায়িক চাহিদাও। তাছাড়া পােষাকের কাপড় বা শাড়ি ও ওড়নাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে পটুয়াদের হাতের কাজ। সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত পটুয়াদের এইসব কাজের নমুনা দেখে মনে হচ্ছিল পরিবর্তনশীল কালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অর্থনৈতিক প্রয়ােজনকে মান্যতা দিয়ে পট শিল্পের এও এক বিরাট বিবর্তন। | আলােকোজ্জ্বল জাতীয় সড়ক ধরে ঘরে ফেরার পথে বার বার চোখের সামনে ভেসে উঠতে থাকে মন্টু চিত্রকরের বাড়ির আলাে আঁধারিতে ভরা ঘরের মাঝে বহু বিচিত্র রঙ্গীন পটের প্লাবন, আর বহু দূর থেকে ভেসে আসে মাটির স্পর্শ লাগা গ্রামীণ সুরে তাদের সপরিবারে গাওয়া গান—  না জানি কেন কালারই সাথে মেন মজেছে। 

শ্যামল কুমার মুখােপাধ্যায়