Mate has three wildlife sanctuaries in Tripura, one of which is Sepahijla.
ত্রিপুরায় মােট তিনটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণালয় আছে তার মধ্যে একটি সিপাহিজলা । এগুলি হল গােমতী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণালয় (৩৯০ বর্গ কিমি), ত্রিপুরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণালয় (১৯৮ বর্গ কিমি) এবং সিপাহিজলা (১৮.৫৩ বর্গ কিমি)। সিপাহিজলা আয়তনে ছােট হলেও বন্য প্রাণীতে সমৃদ্ধ। এখানে রয়েছে ত্রিপুরার একমাত্র চিড়িয়াখানা, বােটানিক্যাল গার্ডেন, ডিয়ার পার্ক, হ্রদ, হ্রদে বােটিং ব্যবস্থা, রিসার্চ সেন্টার এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। সিপাহিজলাতে প্রচুর পাখি রয়েছে। সকালবেলা একটা লােক এখানে কিছুটা পায়ে হাঁটলে কমপক্ষে ১৫০ প্রজাতির পাখি দেখতে পাবে। নিবিড় আরণ্যক পরিবেশে চিড়িয়াখানা দেখাটাই এখানের মুখ্য আকর্ষণ। এটি অনেকাংশে ওড়িশার নন্দনকাননের’ অনুরূপ চিড়িয়াখানা। সিপাহিজলার জঙ্গলে আছে চশমা-বাঁদর যা ভারতের অন্য কোনাে জঙ্গলে এখন দেখা যায় না। এ ছাড়া কাঁকড়া-ভােজী নেউল পৃথিবী থেকে বাহাত্তর বছর আগে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ঘােষিত হওয়ার পরও আবার তাদের পাওয়া গেছে সিপাহিজলার জঙ্গলে।
ঘন অরণ্যে ছাওয়া সিপাহিজলার অন্য আকর্ষণ হল টয় ট্রেন, হাতির পিঠে চড়া এবং হ্রদের জলে বােটিং। এখানে একটা সুন্দর বাংলাে রয়েছে বন বিভাগের। নাম ‘অবসরিকা। ছুটি কাটানাের পক্ষে আদর্শ। যাঁরা গাছ-পালা, পশু-পাখি ভালােবাসেন তাদের অবশ্যই মুগ্ধ করবে সিপাহিজলা। চিড়িয়াখানায় রয়েছে হাতি, সিংহ, বাঘ, চিতা, হায়না, নীলগাই, কৃষ্ণসার, মূষিক-মৃগ, শূকর, হরিণ, সম্বর, সােনালি লেঙ্গুর, চশমা বাঁদর, বিশাল কাঠবেড়ালি, নানা জাতের পাখি, ময়ুর ইত্যাদি। সিপাহিজলা দেখার পর ফিরে এলাম রুদ্রসাগরে। দেখলাম রুদ্রসাগরে সূর্যাস্ত। আজ রবিবার। রুদ্রসাগরের খেয়াঘাটে প্রচুর ভিড়। সবাই নীরমহল দেখতে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত। দুরকমের ব্যবস্থা আছে নীরমহল যাওয়ার। দেশী নৌকা এবং মেশিন বােট। দেশী নৌকার মাথা পিছু ভাড়া ছয় টাকা। মেশিন বােটে মাথা পিছু ৫০ টাকা। তীর থেকে নীরমহল প্রায় দেড় কিলােমিটার দূরে। সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। সবাই তাই মেশিন বােটে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব। ভিড় দেখে আমরা ঠিক করলাম পরদিন সকাল সকাল নীরমহল দেখতে যাব। পরদিন একেবারে সকালবেলায় মেশিন বােটে চড়ে দেখতে গেলাম নীরমহল।
মাধব ঘোষ
0 Comments