Bhimbetkar Cave is located 45 km southeast of Bhopal and 9 km south of Obedullaganj town in Raisen district of Madhya Pradesh at the southern end of the Vindhya range. To the south of these rock shelters is in the range of Satpura Hills. It is located inside the Rathpani Wildlife Sanctuary, at the foot of the Vindhya Range.

ভীমবেটকার গুহাগু ভোপাল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলার ওবেদুল্লাগঞ্জ শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে বিন্ধ্য রেঞ্জের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। এই শিলা আশ্রয়গুলির দক্ষিণে সাতপুরা পাহাড়ের রেঞ্জর মধ্যে। এটি রথপানি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ভিতরে, বিন্ধ্য রেঞ্জের পাদদেশে বেলেপাথরের পাথরে তৈরি সাতটি পাহাড় নিয়ে গঠিত গুহাগুলি বিনায়ক, ভোনরাওয়ালি, ভীমবেটকা, লাখা জুয়ার (পূর্ব ও পশ্চিম), ঝোঁড়া এবং মুনি বাবাকি পাহাড়।

ভীমবেটকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অজস্র পাহাড় পর্বতের অভ্যন্তরে শত শত গুহা, তন্মধ্যে বহু গুহাগাত্র রঙিন চিত্রে অলঙ্কৃত। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে পুরাতন প্রস্তর যুগ এবং নূতন প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী লৌহযুগে, অনুমান সাত থেকে দশ হাজার বৎসর আগে এই গুহাগুলিতে মানুষ বাস করিত। গুহাগুলি তাদেরই তৈরি এবং এর দেয়াল গাত্রের ছবিগুলি সেই যুগের মানুষের আঁকা।  হাজার হাজার বৎসর আগে আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই গুহাগুলিতে বসবাস করেছেন।  গুহামানবদের জীবনের কল্পিত খণ্ডচিত্র এইভাবে জঙ্গল উপন্যাসে বিধৃত। ভূপাল থেকে মাত্র ৪৫ কিমি দূরে এই ভীমবেটকা। হাজার হাজার বৎসর বিস্মৃতির অন্ধকারে লুকানাে ছিল এই বিস্ময়কর সম্পদ। মাত্র ১৯৫৭ সনে V S Warkaner এটি আবিষ্কার করেন। প্রায় ৭০০ গুহা আছে চারদিগের পাহাড়গুলির মধ্যে ছড়িয়ে। ১৯৭১-১৯৭৭ পর্যন্ত এখানে খনন কার্য চালানাে হয়েছিল। এদেশি ও বিদেশি প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের সম্মিলিত অভিমত হল পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত প্রাগৈতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে এটি ভারতের প্রাচীনতম এবং বিশ্বের দ্বিতীয়। স্পেনের আলতামিরের পরেই এর প্রাচীনত্ব। নির্জন পাহাড়ের অন্ধকারময় গুহাগুলিতে ঢুকতে একটু ভয় ভয় করে। কাছেপিঠে বন্য জন্তুও আছেই। নেকড়ে বাঘের উপদ্রবের কথাও মাঝে মাঝে শােনা যায়। গাছপালা, পাখপাখালি আর নিম্নভূমির শ্যামলিমা ছাড়াও গুহাগুলির দেয়ালচিত্র এই স্থানের প্রধান আকর্ষণ। এইসব গুহায় হাতি, ঘােড়া, সিংহ, গণ্ডার, ভাল্লুক ইত্যাদি পশু, উপাস্য দেবতার মূর্তি, জন্তু জানােয়ার শিকারের চিত্র। নৃত্যরত মানুষের মূর্তি , এসবই চিত্রগুলির প্রধান উপজীব্য। প্রধানত লাল, হলুদ, সবুজ আর সাদা রং ব্যবহার করা হয়েছে ছবি আঁকতে। মানুষ আঁকতে সবুজ আর পশুদের লাল রং দিয়ে আঁকা হয়েছে। ৭০০ গুহার মধ্যে মাত্র ১০/১২টি গুহাই গাইডরা ঘুরিয়ে দেখায় বাকিগুলি এখনও অগম্য। তাছাড়া বাঘ ভাল্লুকের ভয়ে জঙ্গলের মধ্যে কেউ ঢুকে না। কাছাকাছি জনবসতি নাই। ঢুকবার পথের বাঁদিকে ঝর্নার গায়ে একটি দুর্গামন্দির দু-একজন সাধু ছাড়া এ অঞ্চলে বসতি নাই। গাইড জানাল তিনটি পৃথক স্তরে সাতটি বিভিন্ন সময়কালে গুহাচিত্রগুলি আঁকা হয়েছিল। এই গুহাচিত্রের একটি প্রতিলিপি ভূপালের টুরিস্ট লজ পলাশ হােটেলের রিসেপসন কাউন্টারের সামনে প্রদর্শিত হয়েছে। গুহাগুলি কোন কোনটি এত বড় যে বহু মানুষ একসঙ্গে একই গুহায় বসবাস সম্ভব। স্পেনের আলতামির গুহাচিত্রের কথা বহুল প্রচলিত অথচ ভারতের এত বড় আবিষ্কার এখনও যথেষ্ট প্রচার পায়নি। বনবাসকালে পাণ্ডবেরা নাকি এই গুহাতে বনবাস করেছিলেন। ভীম এখানে বসেছিলেন বলেই জায়গার নাম ভীমবেটকা। ১৯৯৯ সনের অক্টোবর মাসে ভূপাল থেকে গাড়িতে ভীমবেটকা দেখতে গেছিলাম। গাড়ি ছাড়া এ অঞ্চল এখনও দুর্গম। ট্যুরিস্ট আকর্ষণের জন্য উপযুক্ত প্রচার, রাস্তাঘাট ইত্যাদি কিছুই নাই। অথচ ভূপালের এত কাছে এমন দুর্লভ নিদর্শন শুধু দেশি ভ্রমণকারীদের কাছেও যথেষ্ট আকর্ষণীয় হওয়ার কথা। চিত্রগুলি দেখে বারবার মনে হচ্ছিল প্রকৃতিজাত কোন সে উপাদান যা দিয়ে তৈরি রং দশ হাজার বৎসরের ঝড় বৃষ্টি ইত্যাদি স্বাভাবিক ক্ষয় ক্ষতি অগ্রাহ্য করে আজও এমন উজ্জ্বল রয়ে গেছে। গুহামানবদের সেই সব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার আজ সম্পূর্ণ বিলুপ্ত।  ভূপাল ইতারসি হাইওয়েতে ভীয়াপুরলেভেল ক্রশিং থেকে মাত্র সাড়ে তিন কিমি দূরে ২২০০ ফুট উচ্চতায় ভীমভেটকার অবস্থান।