When the afternoon sun was about to set on the other side of the forest, a herd of deer stared at us from a distance, rushing in front of our eyes to invite us to that dim shadow. It was four-thirty in the afternoon, the beginning of the month of Kartik, so the winter has not fallen yet, it is a little late to get down in the evening. Our safari car barely crossed the main gate of the forest and proceeded at a slow pace. We have now come to Betla National Park under the Palamau Tiger Project in Jharkhand. Betla National Park covers an area of ​​1,020 sq km in Latehar, Gareya and Lahardanga districts of Jharkhand.

বিকেলের সূর্য যখন জঙ্গলের অপর পারে অস্ত যেতে ব্যস্ত, সেই আবছায়া আলােয় আমাদের আমন্ত্রণ জানাতে চোখ ঝলসানি গতিবেগে চোখের সামনে দিয়ে ছুটে গিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখতে লাগল একপাল চিতল হরিণ। ঘড়িতে তখন বেলা সাড়ে চারটে, কার্তিক মাসের শুরু তাই শীত তেমন পড়েনি এখনও, সন্ধ্যে নামতেও বেশ কিছুক্ষণ দেরি আছে। আমাদের সাফারির গাড়ি সবে জঙ্গলের মূল দ্বার পেরিয়ে ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে। আমরা এখন এসে পড়েছি ঝাড়খন্ডের পালামৌ ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত বেতলা জাতীয় উদ্যানে। লাতেহার, গাড়েয়া ও ঝাড়খন্ডের লােহারডাঙ্গা জেলার ১০২০ বর্গ কিমি অঞ্চল এই বেতলা জাতীয় উদ্যান।

পালামৌ-এর এই জঙ্গলে এক সময়ে দেখা যেত অনেক বাঘ। কিন্তু মানব জাতির সভ্যতার আশীর্বাদে বর্তমানে বাঘের সংখ্যার দ্রুত হ্রাস ঘটেছে। যথারীতি আমরা তাই বাঘের আশা ত্যাগ করে এই জঙ্গলের অন্য দুই আকর্ষণীয় প্রাণীকে খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। প্রায় পনেরাে-কুড়ি মিনিট হয়ে গেছে। আমাদের গাড়ি চলেছে ধীর গতিতে আর সকলের ব্যস্ত একজোড়া চোখ খুঁজে চলেছে আকস্মিক কিছু দেখার আশায়। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানেই সবার অপেক্ষার পালা সাঙ্গ হল। গাইড মুস্তাক আমাদের দিকে তাকিয়ে কিছু বলার আগেই আমাদের সবার নজর গিয়ে স্থির হয়েছে সামনের জঙ্গলের দিকে। অল্প সময়ের মধ্যেই সেদিক থেকে, ঘন বনের বুক চিরে একে একে শাবক সঙ্গে নিয়ে কান ঝাপটাতে ঝাপটাতে সাতটি হাতির একটি পরিবার এসে উপস্থিত হল। চোখের সামনে এক পাল বুনাে হাতি দেখা আমার কাছে এক চিরস্মরণীয় অভিজ্ঞতাই বটে। প্রাণ ভরে সেই মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করলাম। এদের চলে যাওয়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই একলা গজরাজ তার তিমির শীতল নজর আমাদের দিকে বার দুয়েক মেলে শ্লথগতিতে জঙ্গলের একপার থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হয়ে অপরপারের জঙ্গলে অদৃশ্য হয়ে গেল। এতসব নাটকীয় মুহূর্তের পর বেলা শেষে জঙ্গল ছাড়ার আগে দেখা হয়ে গেল একলা এক গাউড়ের সঙ্গে। | পরদিন সকালের শুরুতেই এক ছােট্ট গাউড় পরিবারের সঙ্গে দেখা হল, গাউড় মাতা ও তার দুই শাবক। খানিক পরে আবার এক একলা গাউড়ের সঙ্গে দেখা, সে তার সকালের আহারাদি সারতে ব্যস্ত। অনেকক্ষণ ধরে ছবি তুলতে দিলেও আমাদের ওপর তার নজর ছিল বেশ। সেদিন বিকেলেও আরও একবার দেখা হয়েছিল সেই হস্তি পরিবারের সঙ্গে।

এই জঙ্গলে বাঘ ও চিতাবাঘ দেখা দুর্লভ হলেও, হাতি, গাউড় (ভারতীয় বাইসন) ছাড়া দেখা মেলে হরিণ, হনুমান, বাঁদর, শেয়াল, জায়েন্ট স্কুইরেল, হায়না ও আরও অনেক প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। এখানে আছে হরেক প্রজাতির পাখি, যেমন ধনেশ, পাচা, ভিমরাজ, দুধরাজ, ময়ূর, নীলকণ্ঠ, ঈগল প্রভৃতি। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, বেতলা জাতীয় উদ্যান ছাড়াও এখানকার অন্যতম আকর্ষণ হল চেরাে রাজা মেদিনী রায়ের চারশাে বছরের পুরনাে পালামৌ দূর্গ। এছাড়াও আছে বেশ কয়েকটি জলপ্রপাত, যেমন। সুগাবাধ, মিরচাইয়া ও ঝাড়খন্ডের উচ্চতম লােধ জলপ্রপাত।